গত কয়েক দিন আগে আমি গিয়েছিলাম আমার গ্রামের বাড়ি বেড়াতে । তখন সময়টা ছিল ১৬ই ডিসেম্বর, বিজয় দিবসের এর আমেজে ভরপুর । যাওয়ার সময় ট্রেনে-বাসে, শহরের রাজপথে, ফুটপাতে, অলিতে-গলিতে সর্বত্রই দেখি বিজয়ের চিহ্ন । কারো বাড়িতে ছুট আবার কারো বাড়িতে বড় মাপের পতাকা । কারো বা হাতে আবার কেও কেও গাড়িতে ও লাগিয়ে রেখেছেন ।
মানুষের জীবন বড়ই বিচিত্র । জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ কে কি না করতে হয় ! যখন ভাগ্যের পরিহাসে নির্দয় নিষ্ঠুরের মতো স্বয়ং বিধাতাই মানুষের সুখ শান্তি ও আনন্দময় জীবন কেড়ে নিয়ে মানুষকে বিকলাঙ্গ করে চরম বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেয়, তখন মানুষ কতই না অসহায় হয়ে পরে। এগুলো মহান বিদাতার একটা পরীক্ষা মাত্র।
সেদিন সকাল থেকেই শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ। একটু পর পর হাল্কা হাওয়া বইতেছে । যেন থমকে দাঁড়িয়ে থাকা পৃথিবীটা মাঝে মাঝে নাড়া দিয়ে উঠছে। কিন্তু মানুষ তো আর থেমে নেই। রুজি-রোজগারের খোঁজে সকলকেই দৌরাতে হয় । নদীর স্রোতের মতো মানুষের জীবনও চলছে অবিশ্রান্ত। তন্মধ্যে কেউ কেউ শীতের তীব্রতায় গুটিমেরে বসে আছে । আমার মনে হয় একমাত্র চালো ছিল আমারা যাওয়ার রেল গাড়িটি।
যাই হওক আমি ঠিক সময়েই আমার গন্তব্বে যাব এটা আমার অধীর মনোবল, কিন্তু পারলাম না, ট্রেন বেশ কয়েক জায়গাতে থামল। আমি বসেছিলাম জানালার পাশে। মাঝে মাঝে বাহিরে তাকিয়ে দেখছিলাম রেললাইনের কাছাকাছি মানুষ গুলুর বেস্ততা । আমার শহরে গিয়ে ট্রেন থামল রাত্র ৮ টা বাজে।
সকাল বেলা বের হলাম আমার গ্রামের বাড়ির পথে । এত কুয়াশা এর মাজেও কেও থেমে নেই, জীবন ও জীবিকার জন্য লোকজন বেস্ত হয়ে পড়েছে । গ্রামে গিয়ে দেখলাম সেখানেও কেও থেমে নেই এত ঠাণ্ডার মাজেও সবাই কাজে বেস্ত । অল্প কদিনের এই পৃথিবীতে মানুষ বাঁচার জন্য কত কিছুই না করে । দেখতে বড়ই করুন মনে হলেও এইত নিয়ম , জীবন ও জীবিকার জন্য মানুষ কে প্রতিটি দিনই পরিছ্রম করতে হয় , করতে হবে । নয়ত আমরা যেখানে আছি সেখানেই থেমে যাব।