Life Style & Community

FOOD (1)প্রতিদিনের খাবারে_মধু, আদা, কালিজিরা, রসুন রাখুন… 

তারুণ্য ধরে রাখতে :

তারুণ্য ধরে রাখতে Antioxidant এর কোন জুড়ি নেই। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় Antioxidant সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এর ফলে অকাল বার্ধক্য এবং নানা ধরনের রোগ আমাদের কাছ থেকে দূরে থাকবে।
আদিমযুগ থেকে সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ চেয়েছে তার রূপ-লাবণ্য বৃদ্দির পাশাপাশি তারুণ্য ধরে রাখতে। বিজ্ঞানের এই অত্যাধুনিক যুগে এসেও এর বিন্দুমাত্র কমতি হয়নি। বরং চিত্রতারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই চায় বয়স যতই বাড়ুক না কেন তারুণ্যের ছোঁয়া থাকুক সব সময়।

Antioxidant গ্রহণে করণীয়
ফলমূল, শাকসবজি খাওয়াতে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে Antioxidant ট্যাবলেট খেতে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরি। গবেষণায় দেখা গেছে, ফলমূল, শাকসবজি গ্রহণে যেখানে ১০০% সুফল পাওয়া যায়, সেখানে মাত্র ২৫ % কাজ হয় ট্যাবেলেট বা ক্যাপসুলে।

Antioxidant জাদু আছে
তারুণ্য ধরে রাখতে Antioxidant এর কোন জুড়ি নেই। আমাদের শরীরে অনেক Antioxidant রক্ষিত থাকে। কিন্তু বর্তমান লাইফস্টাইল যেমন-ফাস্ট ফুড খাওয়া, স্ট্রেস, মাত্রাতিরিক্ত টেনশন, ধূমপান, কায়িক পরিশ্রমে অনীহা ইত্যাদির ফলে আমাদের নিজস্ব প্রাকৃতিক Antioxidant কে  নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় Antioxidant সমৃদ্ধ খাবার থাকতে হবে। এর ফলে অকাল বার্ধক্য এবং নানা ধরনের রোগ আমাদের কাছ থেকে শত হাত দূরে থাকবে।

পুড়ে যাওয়া তৈল পুনরায় ব্যাবহার বাদ দিতে হবে
কোনো কিছু ভাজার পর পুড়ে যাওয়া তৈল অনেকে তুলে রেখে দেন পরদিন রান্নার কাজে ব্যাবহার করার জন্য। এই কাজটি করা উচিত নয়। কারণ পুড়ে যাওয়া তৈল শরীরের জন্য মারাত্মক কুফল বয়ে আনে। এতে Antioxidant তৈরির সহায়ক এনজাইমগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে মাছ-মাংস কম খাওয়া ভালো
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাছ-মাংস কম খাওয়া উচিত। রেডমিট যেমন গরু, খাসির মাংস বেশি খেলে রক্তে আয়রনের মাত্রা বেড়ে Antioxidant এর প্রক্রিয়া বিনষ্ট করে। আর এটা শুধু বড়দের বেলায় প্রযোজ্য।

FOOD (2)

পুষ্টিকর খাবার……

স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
শরীর ও মনের ক্ষতি করতে স্ট্রেসের জুড়ি নেই। কিন্তু এটা থেকে দূরে থাকতে হবে। বলা যত সহজ, দূরে থাকাটা ততই কঠিন। তাই কীভাবে একে ম্যানেজ করা যায়, সেটা ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ। মনে স্ট্রেস সৃষ্টি হলে শরীরে অ্যাড্রিনালিন গ্ল্যান্ড থেকে এক ধরনের হরমোন বের হয়, যা শরীরে টক্সিন ছড়ায়। এটা রক্তনালিকে সরু করে দেয়, যার ফলে রক্তচাপ বাড়ে, মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডে তার সুদূর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ত্বক খসখসে হওয়া, চুল উঠে যাওয়া, বুড়োটে ভাব ইত্যাদি শারীরিক সমস্যাগুলোও এর ফলে উদ্ভব হয়। স্ট্রেস কমানোর প্রয়োজন তাই সবাই অনুভব করে। নিজের পছন্দমতো কোনো কাজ করা বা ছবি থাকলে, যেমন-জীবজন্তু পোষা, বই পড়া, গান শোনা, নিয়মিত খোলা জায়গায় বেড়ানো ইত্যাদিতে মনের ভার অনেকখানি লাঘব হয়।

Antioxidant সমৃদ্ধ খাবার তালিকা

 
দুধ জাতীয় খাবার
দই, ছানা, দুধ, ডিম ইত্যাদি।
ফলমূল
যেমন-পাকা কলা, পাকা পেঁপে, পাকা আম, পাকা পেয়ারা ইত্যাদি।
তাজা শাকসবজি
আমাদের পরিচিত শাকসবজি Antioxidant এর এক অপূর্ব ভাণ্ডার।
যেমন-পালংশাক, লাউশাক, ঢেঁড়স, গাজর, বাঁধাকপি, পাকা কুমড়া, টমেটো, তরমুজ ইত্যাদি। ক্যান্সার প্রতিরোধকারী লাইকোপিন নামে Antioxidant পাওয়া যায় টমেটো এবং তরমুজে। ত্বকের সুস্থতা এবং সজীবতা ধরে রাখতে টাটকা শাকসবজি এক অব্যর্থ ওষুধ।
 
ভাল গভীর ঘুমের জন্য করনীয়ঃ
 
আমাদের জীবন যাপনে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনে দিতে পারে ভাল ঘুম।ভালো ঘুম না হলে সারাদিনই তার প্রভাব পড়ে শরীর এবং কাজের ওপর। জেনে নিই ভাল ঘুমের জন্য কি কি করা  যায়।
  • বাহির থেকে ঘরে ফিরে গোসল সেরে নিন।দেখবেন সারা দিনের কান্তি এক নিমিষেই চলে যাবে।
  • যদি পারেন তবে এক গ্লাস গরম দুধ খান।
  • ঘুমোতে যাওয়ার অনেক আগেই টিভি, কম্পিউটার বন্ধ করুন
  • পরের দিনের কাজের পরিকল্পনা আগের দিনেই করে ফেলুন,যার ফলে টেনশনে ঘুম নষ্ট হবে না
  • বিছানায় যাওয়ার অনেক আগেই রাতের খাবার সেরে নিন।
  • রাত ১০টা -১১টার মধ্যেই ঘুমোতে যান। এ সময় বিছানায় গেলে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • যদি পারেন সন্ধ্যার পর পরই চা-কফি খাওয়া বন্ধ করে দিন।
  • হাল্কা মিউজিক এর গান শুনুন।
  • চেষ্টা করুন দুশ্চিন্তা না করার
  • শোবার ঘরে বেশি আলো যাতে বেশি না থাকে তার দিকে খেয়াল রাখুন।
  • দিনে বেলা কিছুক্ষন বিশ্রাম নিতে পারেন , তবে দীর্ঘ সময় ঘুমাবেন না, এতে রাতের ঘুমের উপর প্রভাব পড়ে।
  • প্রতিদিন ঠিক এক সময়ে বিছানায় যাবেন এবং  ঘুম থেকে ওঠার অভ্যেস তৈরি করুন।
  ঘুম নিয়ে চিন্তা না করে  উপরের নিয়মগুলো মানা শুরু করুন দেখবেন আপনার জন্য কাজে লাগবে।
 

Leave a comment