সংগ্রহ শালা

KOBITA

ত্রিশাল উপজেলার সর্বত্রই কবি নজরুলের স্মম্রিতি জড়িয়ে আছে। এখানে কবি স্মৃতি বিজড়িত দুটি স্মৃতিকেন্দ্র রয়েছে যেখানে কবির স্বহস্তে লিখিত বেশ কিছু দুর্লভ গান, কবিতা, চিঠি-র পান্ডুলিপি সংরক্ষিত রয়েছ।

চির যৌবনের দূত কবি নজরুলের কৈশোর কেটেছে ত্রিশালের এই বাড়িতে

চির যৌবনের দূত কবি নজরুলের কৈশোর কেটেছে ত্রিশালের এই বাড়িতে

বাংলা সাহিত্যের অসামান্য প্রতিভার অধিকারী আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে প্রথম স্বাগত জানায়  ত্রিশালবাসী। কবির ছন্নছাড়া জীবন থেকে মুক্তি দিয়ে দারোগা কাজী রফিজ উল্লাহ কবিকে ত্রিশালের দরিরামপুর স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। ত্রিশালের নামাপাড়ার বিচুতিয়া ব্যাপারী বাড়ী্র এই ঘরটিতে জায়গীর থেকে কবি সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। কবির স্মৃতিবিজড়িত সেই ঘরটি আজ আর নেই কিন্ত ওই ঘরের ভিত্তিতে পরবর্তীতে নজরুল ইন্সটিটিউট, সংস্কৃতি বিষয়ক মণত্রণালয় এই চৌচালা ঘরটি নির্মাণ করে। ত্রিশাল উপজেলা সদরেই কবির স্মৃতি বিজড়িত এই কেন্দ্রটি অবস্থিত। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে অতি নিকটে এই স্মৃতিকেন্দ্রে এখন নজরুল গবেষকদের জন্য একটি তীর্থস্থানের মতন। এখানে স্থাপিত যাদুঘরে কবির বিভিন্ন রচনা সামগ্রী, কবির স্বহস্তে লিখিত বিভিন্ন দুর্লভ হস্তলিপি, দুর্লভ আলোকচিত্র, কবির ব্যবহার্য সামগ্রী রক্ষিত আছে। প্রতিবছর অসংখ্য নজরুল ভক্তের পাশাপাশি দেশের স্বনামধন্য নজরুল গবেষক ও নজরুল সঙ্গীত শিল্পীদের আগমন ঘটে। কবির জন্মজয়ন্তীতে এখানে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

ধলা সরকারী আশ্রয় কেন্দ্র

ধলা সরকারী আশ্রয় কেন্দ্র

ত্রিশাল উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী বালিপাড়া উপজেলাতে ধলা সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রটি অবস্থিত। ১৬ একর জমির উপরে অবস্থিত এই কেন্দ্রটি গড়ে উঠেছে এক প্রাচীন জমিদার বাড়ীতে যা শুধু দৃষ্টি নন্দন-ই নয় তা ত্রিশাল উপজেলার একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। এই কেন্দ্রতে প্রায় ৩০০ নিবাসী অবস্থান করে। কেন্দ্রটি সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অধীনে ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ধলা রেলওয়ে স্টেশনের খুব নিকটে-ই এই কেন্দ্রটি অবস্থিত।

Leave a comment